প্রশাসন সংশ্লিষ্টরারা ভেবে দেখুন... আজ পর্যন্ত যত পুলিশ মরেছে, তার অধিকাংশের জন্য দায়ী পুলিশের বুদ্ধিজীবী রা। প্রশ্ন কিভাবে? আসুন বিষয়টা আলোকপাত করি... ধরে নিন কোন একটা পুলিশ চেকপোষ্ট এ ৭জন পুলিশ সদস্য তল্লাসি চালাচ্ছে। এর মাঝে মোটরযান এ চড়ে দুজন দুর্বৃত্ত এলো। প্রথমজন কে তল্লাসি করা মাত্রই দ্বিতীয় জন বোমার বিস্ফারণ ঘটালো বা গুলি শুরু করলো। এর ফলে, ঘটনার আকস্মিকতায় সকল পুলিশ সদস্য 'থ' হয়ে যায় এবং হিতাহিত জ্ঞান শুন্য হয়ে দিগ্বিদিক দৌড় দেয় কিংবা সাহসী পুলিশ সদস্য অস্ত্র রেডি করতে করতে বা সন্ত্রসীদের আক্রমন করার আগেই আক্রমনের শিকার হয়। ফলাফল? কতগুলো অসহায় প্রাণের সমাপ্তি, এবং দুর্বৃত্তদের নিরপদে স্থান স্থান ত্যাগ। যে ঘটনা টুকু এতক্ষন পড়লেন তা যে পূর্বঅভিজ্ঞতা হতে নেয়া, একথা বুঝতেই পাড়ছেন।। এবার আমার তত্ত্বে আসুন.... ধরে নিন একটি পুলিশ চেকপোষ্ট এ তিনজন পুলিশ সদস্য তল্লাসি চালাচ্ছেন। এবং চার জন সাহসী পুলিশ সদস্য, ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষন করা যায়, এমন দুরত্বে সাধারন মানুষের বেশে কোন চায়ের স্টলে, আধুনিক অস্ত্র নিজের শরীরে রেখে, মোট কথা লোকচক্ষুর অন্তরালে, যেমন শার্টের নিচে, কিংবা মাজাতে গুজে অবস্থান করছেন। দুজন দুর্বৃত্ত মোটরযান এ এসে দাড়ালো, প্রথম জনকে তল্লাসি করা মাত্রই দ্বিতীয় জন বোমা ছুড়লো বা গুলি শুরু করলো। সাথে সাথে চায়ের দোকানে থাকা পুলিশ সদস্যরা সন্ত্রসীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লো বা তাদের আক্রমন করে ধরাশায়ী করলো। কারন প্রথম ঘটনায় যেমন পুলিশ 'থ' হয়ে গিয়েছিলো, পড়ের ঘটনায় সন্ত্রাসী রা 'থ' হয়ে যাবে। এ সংবাদ পরের দিন যখন সকল গণমাধ্যম এ প্রচার করা হবে, তারপর আর কোনদিনই পুলিশের উপর হামলা হবেনা। আর হলেও সন্ত্রাসী রা পরাজিত হবে। যার মূল্য দিতে হয় জীবন দিয়ে নতুবা চৌদ্দ শিকের মধ্যে থেকে।।।। আমার প্রস্তাবনা টি ভাবার মত হলে ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো।।
প্রথম আলো মতামত থেকে নেয়া। আমার মত ছোট মাথায় এটা লেখা না।