Social Icons

Featured Posts

Sunday, October 30, 2016

দূরন্ত বালক থেকে ইতিহাস হওয়া এক মিরাজ !

22-10-16-al-conference_pm_sohrawardi-uddan-7
আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আঙুল উঁচিয়ে ধরতেই ছুটলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। স্টিভেন ফিনের রিভিউ নেওয়ার ইশারায় ক্ষণিকের জন্য থমকে যাওয়া। হঠাৎই সবার মনে পড়ল, ইংল্যান্ডের তো রিভিউ নেই। ব্যাটসম্যানের আশপাশেই ছিলেন বেশিরভাগ ফিল্ডার। ছুটে এলেন বাকিরাও। চোখের পলকে স্টাম্পগুলো উঠে এলো হাতে হাতে। উল্লাস বাঁধনহারা।
এ জয় ঐতিহাসিক। বাংলাদেশের জন্য গৌরবের আর আনন্দের। ক্রিকেটে নতুন দিগন্ত এনে দেয় এই জয়। শক্তিশালী ইংল্যান্ড ক্রিকেটের সবচেয়ে আদি দল। সবচেয়ে অভিজাত ইতিহাসের দলও তারা। সেই ইংল্যান্ডকে আজ টেস্টে হারাল বাংলাদেশ।
রকেট সিরিজের দুই টেস্টে ১৯ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও সিরিজ হয়েছেন খুলনার ছেলে মেহেদী হাসান মিরাজ, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন রেকর্ড। খুলনার কৃতী সন্তান মেহেদী হাসান মিরাজের হাত ধরেই ক্রিকেটে বাংলাদেশ এই নতুন ইতিহাস গড়ে।

Monday, August 15, 2016

ব্যর্থতাই সফলতার চাবিকাঠি!! দেখে নিন ৫ বিলিয়নিয়ার যারা ব্যর্থ হতে হতে সফল হলেন!! তাদের সফলতার না বলা কথা!!

সফলতা সোনার হরিন। এই সোনার হরিনের পিছনে ছুটছি আমরা প্রতিনিয়ত। সফলতার সংজ্ঞা এক এক জনের কাছে এক এক রকম। তবে সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেন, ব্যর্থতা সফলতার পেছনের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যদিও এই তথ্যগুলো সব সময় বাস্তবে প্রয়োগ করা কঠিন হয়। তবে তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে আপনি জানলে অনেক কিছু করতে পারবেন। যেকারণে আপনাকে জানতে হবে এবং জানাতে হবে নিজেকে। আপনাকে প্রতিনিয়ত মানুষের ফিডব্যাক এবং সমালোচনাকে শুধরাতে হবে। তবে বার বার ব্যর্থ হতে থাকলে আপনি একদিন পিছিয়ে যাবেন নিজের কাছে। সেজন্যই আপনার তথ্য দরকার। আপনি যতো তথ্য জানবেন ততই আপনি নিজেকে ওভারকাম করতে পারবেন।
সফলতা একটি বিশেষ কোন বস্তু নয়, এটি অনেকগুলো কর্মকাণ্ডের সংমিশ্রণ। অনেকগুলো কাজের ফলাফল আপনার সফলতা। সফলতা ছুঁয়ে দেখা যায় না তবে আপনি অনুভব করতে পারবেন। আমরা সফল হতে চাই কিন্তু সফল হওয়ার পেছনের কষ্টগুলো নিতে চাই না। আমরা সফল মানুষের গল্প শুনতে ভালোবাসি কিন্তু সেই সফল মানুষের ভেতরের অনুভতিগুলাকে এড়িয়ে যায়। প্রত্যেকটা মানুষের সফল হওয়ার পেছনে থাকে বহু অনিদ্রা রাত যাপন, বহু বছরের কঠোর পরিশ্রম। সফলতা কখনো এক দিনে পাওয়া যায় না, সফল হতে বহু দিনের অক্লান্ত রাত পার করতে হয়।

Friday, August 12, 2016

সফল হওয়ার মূল চাবিকাঠি !!

একজন প্রফেসর ক্লাসে প্রবেশ
করলেন অর্ধ পূর্ণ একটি গ্লাস হাতে।
তিনি এটি সোজা করে ধরে তার
শিক্ষার্থীদের বললেন, “এই গ্লাসটার ওজন
কত হবে?”
“৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম, ১৫০ গ্রাম”,
শিক্ষার্থীরা জবাব দিলো।
প্রফেসর বললেন, "আমি এর ওজন জানি না
কারন আমি এটি পরিমাপ করিনি !!
কিন্তু আমার প্রশ্ন হল আমি যদি এই
গ্লাসটি কিছুক্ষন এভাবে ধরে রাখিকি হবে
তাহলে?"
শিক্ষার্থীরা বললেন, "তেমন কিছুই
হবেনা!"
"আচ্ছা তাহলে আমি যদি এটা কয়েক
ঘণ্টা এভাবে ধরে রাখি তাহলে কি হবে?"
"আপনার হাতে ব্যথা শুরু হবে।"
একজন ছাত্র বললেন।
"ঠিক আছে, তাহলে আমি যদি এটাকে এক
দিন এভাবে ধরে রাখি তাহলে?”
আরেকজন বললেন “আপনার হাত অসাড়
যেতে পারে; আপনার পেশী গুলো
কাজ
করবে না এবং আপনি প্যারালাইসড-ও
হয়ে যেতে পারেন এবং নিশ্চিত
হাসপাতালে
ভর্তি হতে হবে!”
শিক্ষার্থীরা একটু মজা পেতে শুরুকরল,
কেউ কেউ হাসলও।

Sunday, July 10, 2016

দয়া করে পড়ুন

প্রশাসন সংশ্লিষ্টরারা ভেবে দেখুন... আজ পর্যন্ত যত পুলিশ মরেছে, তার অধিকাংশের জন্য দায়ী পুলিশের বুদ্ধিজীবী রা। প্রশ্ন কিভাবে? আসুন বিষয়টা আলোকপাত করি... ধরে নিন কোন একটা পুলিশ চেকপোষ্ট এ ৭জন পুলিশ সদস্য তল্লাসি চালাচ্ছে। এর মাঝে মোটরযান এ চড়ে দুজন দুর্বৃত্ত এলো। প্রথমজন কে তল্লাসি করা মাত্রই দ্বিতীয় জন বোমার বিস্ফারণ ঘটালো বা গুলি শুরু করলো। এর ফলে, ঘটনার আকস্মিকতায় সকল পুলিশ সদস্য 'থ' হয়ে যায় এবং হিতাহিত জ্ঞান শুন্য হয়ে দিগ্বিদিক দৌড় দেয় কিংবা সাহসী পুলিশ সদস্য অস্ত্র রেডি করতে করতে বা সন্ত্রসীদের আক্রমন করার আগেই আক্রমনের শিকার হয়। ফলাফল? কতগুলো অসহায় প্রাণের সমাপ্তি, এবং দুর্বৃত্তদের নিরপদে স্থান স্থান ত্যাগ। যে ঘটনা টুকু এতক্ষন পড়লেন তা যে পূর্বঅভিজ্ঞতা হতে নেয়া, একথা বুঝতেই পাড়ছেন।। এবার আমার তত্ত্বে আসুন.... ধরে নিন একটি পুলিশ চেকপোষ্ট এ তিনজন পুলিশ সদস্য তল্লাসি চালাচ্ছেন। এবং চার জন সাহসী পুলিশ সদস্য, ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষন করা যায়, এমন দুরত্বে সাধারন মানুষের বেশে কোন চায়ের স্টলে, আধুনিক অস্ত্র নিজের শরীরে রেখে, মোট কথা লোকচক্ষুর অন্তরালে, যেমন শার্টের নিচে, কিংবা মাজাতে গুজে অবস্থান করছেন। দুজন দুর্বৃত্ত মোটরযান এ এসে দাড়ালো, প্রথম জনকে তল্লাসি করা মাত্রই দ্বিতীয় জন বোমা ছুড়লো বা গুলি শুরু করলো। সাথে সাথে চায়ের দোকানে থাকা পুলিশ সদস্যরা সন্ত্রসীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লো বা তাদের আক্রমন করে ধরাশায়ী করলো। কারন প্রথম ঘটনায় যেমন পুলিশ 'থ' হয়ে গিয়েছিলো, পড়ের ঘটনায় সন্ত্রাসী রা 'থ' হয়ে যাবে। এ সংবাদ পরের দিন যখন সকল গণমাধ্যম এ প্রচার করা হবে, তারপর আর কোনদিনই পুলিশের উপর হামলা হবেনা। আর হলেও সন্ত্রাসী রা পরাজিত হবে। যার মূল্য দিতে হয় জীবন দিয়ে নতুবা চৌদ্দ শিকের মধ্যে থেকে।।।। আমার প্রস্তাবনা টি ভাবার মত হলে ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো।।
প্রথম আলো মতামত থেকে নেয়া। আমার মত ছোট মাথায় এটা লেখা না।

Saturday, July 9, 2016

হারিয়ে গেছে সেই ঈদ-তিন যুগের ব্যবধানে

সেই ঈদ আর খুঁজে পাই না তিন যুগের ব্যবধানে। আনন্দ নেই চাঁদ দেখার সেই আনন্দ- যা বিজ্ঞানের কল্যাণে বিলীন হয়ে গেছে। মনে আছে রমজানের শুরুতেই ঈদের জন্য বাবার কাছে নতুন জামার বায়না ধরা আর নতুন জামার অপেক্ষায় কেটে যেত পুরো রমজান মাস। বাজি ধরে ওই বয়সে রোজা রাখতাম। বাবা-মা রোজা ভাঙ্গানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতো। পরে সেহেরীর সময় ঘুম ভাঙ্গাতো না- যা পরের দিন অভিমান করে সেহেরী না খেয়ে রোজা রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করতাম। সূর্যটা পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার পর পেটের মাঝে রাক্ষসগুলো ছোটাছুটি করতো। সহপাটিদের মাঝে সকাল-বিকাল হিসেব চলতো এবারের ঈদের জন্য এ পর্যন্ত কে কত টাকা জমা করেছে। মামা-মামি, নানা-নানি, খালা-খালু, ফুফা-ফুফু, কিংবা দুলাভাই-আপু’র কাছ থেকে কে কত হাতিয়ে নিয়েছে এ হিসেব চলতো প্রতিদিন। কারো বাড়িতে এমন আত্মীয়রা আসার খবর মানেই ঈদ ব্যাংকে টাকা জমা হবে নিশ্চিত। এমন নানা চিন্তা ভাবনার মাঝে ঈদের ৪-৫ দিন আগে বাবা নিয়ে আসতো ঈদের নতুন জামা ও জুতো। 
 
ঈদের চাঁদ দেখার জন্য গ্রামের ২০-৩০ জন মিলে ছুটে যেতাম ধান ক্ষেতের খোলা আকাশে। পশ্চিম আকাশে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হতো চাঁদ। হঠাৎ কারো মুখে চিৎকার ভেসে উঠতো ঐ যে চাঁদ! সেই আনন্দের ভাষা বর্ণনা করা দুষ্কর। বিজ্ঞানের কল্যাণে সেই আনন্দ এখন আর পাইনা। চাঁদ রাতে সমবয়সীরা ঘুমাতে যেতে চাইতাম না। শুধু গ্রামের এবাড়ি ওবাড়ি ঘুরে ঘুরে গজল গেয়ে বেড়াতাম। গজল গেয়ে অর্জিত আয় মসজিতের চট কিংবা ওজু করার জন্য মাটির ঘটি কিনে দেয়ার আনন্দ মনে থাকবেই। চাঁদের রাতে সবার ঘরে ঘরে রান্নার ধুম পড়ে যেত। কার বাড়িতে কি রান্না হচ্ছে এ আলোচনা চলতো সহপাটিদের মাঝে। ওই রাতে বেশ কয়েকবার চুপি চুপি ঘরে গিয়ে নতুন জামা-জুতো দেখে আসতাম। কেউ জামার রং জানতে চাইলেই বলতাম কাল ময়দানে দেখিও। রেডিওতে চলতো নজরুলের সেই বিখ্যাত গানটি ‘ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’। এখনও ওই গান না বাজলে যেন কোথাও ঈদের আমেজ সৃষ্টি হয় না। ঈদের সকালে সাবান দিয়ে গোসল করার ধুম পরে যেত পুকুর ঘাটে। সে সময় লাক্স সাবানের পাশাপাশি কেউ কসকো, লাইফবয় সাবান ঈদের জন্য ব্যবহার করতো। হাতে বেশি সাবান দিয়ে ঘষতাম না কারণ গতরাতে লাগানো মেহেদির রং যেন ফ্যাকাশে না হয়। বড়দের চেয়ে একটু বেশি মেহেদির জন্য কত কান্না-কাটি করেছি। এরপর দুয়ারে পাটি বিছিয়ে ঈদের সাজ নিতাম বড় ভাইয়ের কাছ থেকে। এ সময় মা নিয়ে আসতো সদ্য রান্না করা সেমাই। খাবার দিয়ে যেতে যেতে সাবধান করে দিতো দেখিস নতুন কাপরে যেন দাগ না লাগে। কিন্ত ঈদের আনন্দ যেখানে উতলে উঠেছে সেখানে দু চামুচ সেমাই পেটে চালান দিলেই মিটে যেত খিদে। ময়দানে গিয়ে সহপাটিরা একে অপরকে প্রশ্ন করতো জামা-জুতো কত নিয়েছিস, কত টাকা জমা হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আজ আর হাজার হাজার টাকা খরচ করে দামি জামা-জুতো কিনে ঈদের ওই আনন্দ পাই না। অত্যাধুনিক যন্ত্রের বদৌলতে আজ আর রেডিওতে শুনতে পাই না ‘রেডিও বাংলাদেশ’ ঈদ মোবারক। 
 
আজ ঈদের চাঁদ দেখা না গেলেও কাল  উদযাপিত  হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। হারিয়ে গেছে ঈদের সেই আনন্দ। গ্রামে গিয়ে এবারো ঈদ করবো। কিন্তু ঈদের আনন্দের সাথী আমার মাকে এবার পাবো না। ঈদের সকালে বাড়ির পাশেই ফকিরগঞ্জ হাটে একটু বেড়াতে যেতাম আর সেখান থেকে আসতে দেরি হলে মায়ের সেই মধুর শাসনের বুলি জীবনভর কোন ঈদে বাস্তবে আর না পেলেও মনের কোঠায় মায়ের ওই শাসন বাক্য মনে থাকবে চিরকাল।

Saturday, June 18, 2016

আইপিএস

How to protect yourself in a thunderstorm.
লোডশেডিং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনুষঙ্গ। লোডশেডিং এর ফলে জীবনযাপন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহ প্রায় সবকিছুই স্থবির হয়ে পড়ে। বিশেষত বাসা-বাড়িতে শিশু, বয়স্ক লোক ও অসুস্থদের সমস্যা বেশি হয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আজকাল অনেকেই “আইপিএস” কিনছেন বা কেনার কথা ভাবছেন। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ায় এতে কোনো ঝামেলা নেই। আইপিএসের মাধ্যমে বাতি, ফ্যান, ফ্রিজ, কম্পিউটার, টিভি, ভিডিও প্লেয়ার প্রভৃতি প্রায় সব ধরনের ইলেকট্রিক যন্ত্রই চালানো যাচ্ছে। চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় আইপিএস ব্যবহারে কোনো ফুয়েল বা লুব্রিকেন্টেরও প্রয়োজন হয় না। ব্যাকআপ পাওয়া যায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা।
IPS এর অর্থ Instant Power Supply, অর্থাৎ এটি এমন একটি ইলেকট্রনিক যান্ত্রিক ব্যবস্থা যার মাধ্যমে ব্যাটারীতে সঞ্চিত ডিসি শক্তিকে এসি প্রবাহে রূপান্তর করে বৈদ্যুতিক লোড যেমন বাতি, পাখা ইত্যাদি চালানো যায়। যখন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে তখন চার্জারের মাধ্যমে ব্যাটারীকে চার্জ করে বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চয় করা হয় আর যখন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় তখন উপযুক্ত যন্ত্রাংশের মাধ্যমে ব্যাটারী হতে সঞ্চিত শক্তিকে প্রয়োজনীয় রূপে পরিবর্তন করে বৈদ্যুতিক লোড চালনা করা হয়। এই যন্ত্রের নাম আইপিএস।
 

Welcome here!!!


Dont miss a post!!

Thanks for visiting!!


 
Blogger Templates