Social Icons

Sunday, October 30, 2016

দূরন্ত বালক থেকে ইতিহাস হওয়া এক মিরাজ !

22-10-16-al-conference_pm_sohrawardi-uddan-7
আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা আঙুল উঁচিয়ে ধরতেই ছুটলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। স্টিভেন ফিনের রিভিউ নেওয়ার ইশারায় ক্ষণিকের জন্য থমকে যাওয়া। হঠাৎই সবার মনে পড়ল, ইংল্যান্ডের তো রিভিউ নেই। ব্যাটসম্যানের আশপাশেই ছিলেন বেশিরভাগ ফিল্ডার। ছুটে এলেন বাকিরাও। চোখের পলকে স্টাম্পগুলো উঠে এলো হাতে হাতে। উল্লাস বাঁধনহারা।
এ জয় ঐতিহাসিক। বাংলাদেশের জন্য গৌরবের আর আনন্দের। ক্রিকেটে নতুন দিগন্ত এনে দেয় এই জয়। শক্তিশালী ইংল্যান্ড ক্রিকেটের সবচেয়ে আদি দল। সবচেয়ে অভিজাত ইতিহাসের দলও তারা। সেই ইংল্যান্ডকে আজ টেস্টে হারাল বাংলাদেশ।
রকেট সিরিজের দুই টেস্টে ১৯ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ও সিরিজ হয়েছেন খুলনার ছেলে মেহেদী হাসান মিরাজ, যা বাংলাদেশের জন্য নতুন রেকর্ড। খুলনার কৃতী সন্তান মেহেদী হাসান মিরাজের হাত ধরেই ক্রিকেটে বাংলাদেশ এই নতুন ইতিহাস গড়ে।

Monday, August 15, 2016

ব্যর্থতাই সফলতার চাবিকাঠি!! দেখে নিন ৫ বিলিয়নিয়ার যারা ব্যর্থ হতে হতে সফল হলেন!! তাদের সফলতার না বলা কথা!!

সফলতা সোনার হরিন। এই সোনার হরিনের পিছনে ছুটছি আমরা প্রতিনিয়ত। সফলতার সংজ্ঞা এক এক জনের কাছে এক এক রকম। তবে সবাই এক বাক্যে স্বীকার করেন, ব্যর্থতা সফলতার পেছনের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যদিও এই তথ্যগুলো সব সময় বাস্তবে প্রয়োগ করা কঠিন হয়। তবে তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে আপনি জানলে অনেক কিছু করতে পারবেন। যেকারণে আপনাকে জানতে হবে এবং জানাতে হবে নিজেকে। আপনাকে প্রতিনিয়ত মানুষের ফিডব্যাক এবং সমালোচনাকে শুধরাতে হবে। তবে বার বার ব্যর্থ হতে থাকলে আপনি একদিন পিছিয়ে যাবেন নিজের কাছে। সেজন্যই আপনার তথ্য দরকার। আপনি যতো তথ্য জানবেন ততই আপনি নিজেকে ওভারকাম করতে পারবেন।
সফলতা একটি বিশেষ কোন বস্তু নয়, এটি অনেকগুলো কর্মকাণ্ডের সংমিশ্রণ। অনেকগুলো কাজের ফলাফল আপনার সফলতা। সফলতা ছুঁয়ে দেখা যায় না তবে আপনি অনুভব করতে পারবেন। আমরা সফল হতে চাই কিন্তু সফল হওয়ার পেছনের কষ্টগুলো নিতে চাই না। আমরা সফল মানুষের গল্প শুনতে ভালোবাসি কিন্তু সেই সফল মানুষের ভেতরের অনুভতিগুলাকে এড়িয়ে যায়। প্রত্যেকটা মানুষের সফল হওয়ার পেছনে থাকে বহু অনিদ্রা রাত যাপন, বহু বছরের কঠোর পরিশ্রম। সফলতা কখনো এক দিনে পাওয়া যায় না, সফল হতে বহু দিনের অক্লান্ত রাত পার করতে হয়।

Friday, August 12, 2016

সফল হওয়ার মূল চাবিকাঠি !!

একজন প্রফেসর ক্লাসে প্রবেশ
করলেন অর্ধ পূর্ণ একটি গ্লাস হাতে।
তিনি এটি সোজা করে ধরে তার
শিক্ষার্থীদের বললেন, “এই গ্লাসটার ওজন
কত হবে?”
“৫০ গ্রাম, ১০০ গ্রাম, ১৫০ গ্রাম”,
শিক্ষার্থীরা জবাব দিলো।
প্রফেসর বললেন, "আমি এর ওজন জানি না
কারন আমি এটি পরিমাপ করিনি !!
কিন্তু আমার প্রশ্ন হল আমি যদি এই
গ্লাসটি কিছুক্ষন এভাবে ধরে রাখিকি হবে
তাহলে?"
শিক্ষার্থীরা বললেন, "তেমন কিছুই
হবেনা!"
"আচ্ছা তাহলে আমি যদি এটা কয়েক
ঘণ্টা এভাবে ধরে রাখি তাহলে কি হবে?"
"আপনার হাতে ব্যথা শুরু হবে।"
একজন ছাত্র বললেন।
"ঠিক আছে, তাহলে আমি যদি এটাকে এক
দিন এভাবে ধরে রাখি তাহলে?”
আরেকজন বললেন “আপনার হাত অসাড়
যেতে পারে; আপনার পেশী গুলো
কাজ
করবে না এবং আপনি প্যারালাইসড-ও
হয়ে যেতে পারেন এবং নিশ্চিত
হাসপাতালে
ভর্তি হতে হবে!”
শিক্ষার্থীরা একটু মজা পেতে শুরুকরল,
কেউ কেউ হাসলও।

Sunday, July 10, 2016

দয়া করে পড়ুন

প্রশাসন সংশ্লিষ্টরারা ভেবে দেখুন... আজ পর্যন্ত যত পুলিশ মরেছে, তার অধিকাংশের জন্য দায়ী পুলিশের বুদ্ধিজীবী রা। প্রশ্ন কিভাবে? আসুন বিষয়টা আলোকপাত করি... ধরে নিন কোন একটা পুলিশ চেকপোষ্ট এ ৭জন পুলিশ সদস্য তল্লাসি চালাচ্ছে। এর মাঝে মোটরযান এ চড়ে দুজন দুর্বৃত্ত এলো। প্রথমজন কে তল্লাসি করা মাত্রই দ্বিতীয় জন বোমার বিস্ফারণ ঘটালো বা গুলি শুরু করলো। এর ফলে, ঘটনার আকস্মিকতায় সকল পুলিশ সদস্য 'থ' হয়ে যায় এবং হিতাহিত জ্ঞান শুন্য হয়ে দিগ্বিদিক দৌড় দেয় কিংবা সাহসী পুলিশ সদস্য অস্ত্র রেডি করতে করতে বা সন্ত্রসীদের আক্রমন করার আগেই আক্রমনের শিকার হয়। ফলাফল? কতগুলো অসহায় প্রাণের সমাপ্তি, এবং দুর্বৃত্তদের নিরপদে স্থান স্থান ত্যাগ। যে ঘটনা টুকু এতক্ষন পড়লেন তা যে পূর্বঅভিজ্ঞতা হতে নেয়া, একথা বুঝতেই পাড়ছেন।। এবার আমার তত্ত্বে আসুন.... ধরে নিন একটি পুলিশ চেকপোষ্ট এ তিনজন পুলিশ সদস্য তল্লাসি চালাচ্ছেন। এবং চার জন সাহসী পুলিশ সদস্য, ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষন করা যায়, এমন দুরত্বে সাধারন মানুষের বেশে কোন চায়ের স্টলে, আধুনিক অস্ত্র নিজের শরীরে রেখে, মোট কথা লোকচক্ষুর অন্তরালে, যেমন শার্টের নিচে, কিংবা মাজাতে গুজে অবস্থান করছেন। দুজন দুর্বৃত্ত মোটরযান এ এসে দাড়ালো, প্রথম জনকে তল্লাসি করা মাত্রই দ্বিতীয় জন বোমা ছুড়লো বা গুলি শুরু করলো। সাথে সাথে চায়ের দোকানে থাকা পুলিশ সদস্যরা সন্ত্রসীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লো বা তাদের আক্রমন করে ধরাশায়ী করলো। কারন প্রথম ঘটনায় যেমন পুলিশ 'থ' হয়ে গিয়েছিলো, পড়ের ঘটনায় সন্ত্রাসী রা 'থ' হয়ে যাবে। এ সংবাদ পরের দিন যখন সকল গণমাধ্যম এ প্রচার করা হবে, তারপর আর কোনদিনই পুলিশের উপর হামলা হবেনা। আর হলেও সন্ত্রাসী রা পরাজিত হবে। যার মূল্য দিতে হয় জীবন দিয়ে নতুবা চৌদ্দ শিকের মধ্যে থেকে।।।। আমার প্রস্তাবনা টি ভাবার মত হলে ভেবে দেখার অনুরোধ রইলো।।
প্রথম আলো মতামত থেকে নেয়া। আমার মত ছোট মাথায় এটা লেখা না।

Saturday, July 9, 2016

হারিয়ে গেছে সেই ঈদ-তিন যুগের ব্যবধানে

সেই ঈদ আর খুঁজে পাই না তিন যুগের ব্যবধানে। আনন্দ নেই চাঁদ দেখার সেই আনন্দ- যা বিজ্ঞানের কল্যাণে বিলীন হয়ে গেছে। মনে আছে রমজানের শুরুতেই ঈদের জন্য বাবার কাছে নতুন জামার বায়না ধরা আর নতুন জামার অপেক্ষায় কেটে যেত পুরো রমজান মাস। বাজি ধরে ওই বয়সে রোজা রাখতাম। বাবা-মা রোজা ভাঙ্গানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হতো। পরে সেহেরীর সময় ঘুম ভাঙ্গাতো না- যা পরের দিন অভিমান করে সেহেরী না খেয়ে রোজা রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করতাম। সূর্যটা পশ্চিম আকাশে হেলে পড়ার পর পেটের মাঝে রাক্ষসগুলো ছোটাছুটি করতো। সহপাটিদের মাঝে সকাল-বিকাল হিসেব চলতো এবারের ঈদের জন্য এ পর্যন্ত কে কত টাকা জমা করেছে। মামা-মামি, নানা-নানি, খালা-খালু, ফুফা-ফুফু, কিংবা দুলাভাই-আপু’র কাছ থেকে কে কত হাতিয়ে নিয়েছে এ হিসেব চলতো প্রতিদিন। কারো বাড়িতে এমন আত্মীয়রা আসার খবর মানেই ঈদ ব্যাংকে টাকা জমা হবে নিশ্চিত। এমন নানা চিন্তা ভাবনার মাঝে ঈদের ৪-৫ দিন আগে বাবা নিয়ে আসতো ঈদের নতুন জামা ও জুতো। 
 
ঈদের চাঁদ দেখার জন্য গ্রামের ২০-৩০ জন মিলে ছুটে যেতাম ধান ক্ষেতের খোলা আকাশে। পশ্চিম আকাশে তন্ন তন্ন করে খোঁজা হতো চাঁদ। হঠাৎ কারো মুখে চিৎকার ভেসে উঠতো ঐ যে চাঁদ! সেই আনন্দের ভাষা বর্ণনা করা দুষ্কর। বিজ্ঞানের কল্যাণে সেই আনন্দ এখন আর পাইনা। চাঁদ রাতে সমবয়সীরা ঘুমাতে যেতে চাইতাম না। শুধু গ্রামের এবাড়ি ওবাড়ি ঘুরে ঘুরে গজল গেয়ে বেড়াতাম। গজল গেয়ে অর্জিত আয় মসজিতের চট কিংবা ওজু করার জন্য মাটির ঘটি কিনে দেয়ার আনন্দ মনে থাকবেই। চাঁদের রাতে সবার ঘরে ঘরে রান্নার ধুম পড়ে যেত। কার বাড়িতে কি রান্না হচ্ছে এ আলোচনা চলতো সহপাটিদের মাঝে। ওই রাতে বেশ কয়েকবার চুপি চুপি ঘরে গিয়ে নতুন জামা-জুতো দেখে আসতাম। কেউ জামার রং জানতে চাইলেই বলতাম কাল ময়দানে দেখিও। রেডিওতে চলতো নজরুলের সেই বিখ্যাত গানটি ‘ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ’। এখনও ওই গান না বাজলে যেন কোথাও ঈদের আমেজ সৃষ্টি হয় না। ঈদের সকালে সাবান দিয়ে গোসল করার ধুম পরে যেত পুকুর ঘাটে। সে সময় লাক্স সাবানের পাশাপাশি কেউ কসকো, লাইফবয় সাবান ঈদের জন্য ব্যবহার করতো। হাতে বেশি সাবান দিয়ে ঘষতাম না কারণ গতরাতে লাগানো মেহেদির রং যেন ফ্যাকাশে না হয়। বড়দের চেয়ে একটু বেশি মেহেদির জন্য কত কান্না-কাটি করেছি। এরপর দুয়ারে পাটি বিছিয়ে ঈদের সাজ নিতাম বড় ভাইয়ের কাছ থেকে। এ সময় মা নিয়ে আসতো সদ্য রান্না করা সেমাই। খাবার দিয়ে যেতে যেতে সাবধান করে দিতো দেখিস নতুন কাপরে যেন দাগ না লাগে। কিন্ত ঈদের আনন্দ যেখানে উতলে উঠেছে সেখানে দু চামুচ সেমাই পেটে চালান দিলেই মিটে যেত খিদে। ময়দানে গিয়ে সহপাটিরা একে অপরকে প্রশ্ন করতো জামা-জুতো কত নিয়েছিস, কত টাকা জমা হয়েছে ইত্যাদি ইত্যাদি। আজ আর হাজার হাজার টাকা খরচ করে দামি জামা-জুতো কিনে ঈদের ওই আনন্দ পাই না। অত্যাধুনিক যন্ত্রের বদৌলতে আজ আর রেডিওতে শুনতে পাই না ‘রেডিও বাংলাদেশ’ ঈদ মোবারক। 
 
আজ ঈদের চাঁদ দেখা না গেলেও কাল  উদযাপিত  হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। হারিয়ে গেছে ঈদের সেই আনন্দ। গ্রামে গিয়ে এবারো ঈদ করবো। কিন্তু ঈদের আনন্দের সাথী আমার মাকে এবার পাবো না। ঈদের সকালে বাড়ির পাশেই ফকিরগঞ্জ হাটে একটু বেড়াতে যেতাম আর সেখান থেকে আসতে দেরি হলে মায়ের সেই মধুর শাসনের বুলি জীবনভর কোন ঈদে বাস্তবে আর না পেলেও মনের কোঠায় মায়ের ওই শাসন বাক্য মনে থাকবে চিরকাল।

Saturday, June 18, 2016

আইপিএস

How to protect yourself in a thunderstorm.
লোডশেডিং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অনুষঙ্গ। লোডশেডিং এর ফলে জীবনযাপন, ব্যবসা-বাণিজ্য সহ প্রায় সবকিছুই স্থবির হয়ে পড়ে। বিশেষত বাসা-বাড়িতে শিশু, বয়স্ক লোক ও অসুস্থদের সমস্যা বেশি হয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আজকাল অনেকেই “আইপিএস” কিনছেন বা কেনার কথা ভাবছেন। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ায় এতে কোনো ঝামেলা নেই। আইপিএসের মাধ্যমে বাতি, ফ্যান, ফ্রিজ, কম্পিউটার, টিভি, ভিডিও প্লেয়ার প্রভৃতি প্রায় সব ধরনের ইলেকট্রিক যন্ত্রই চালানো যাচ্ছে। চার্জ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় আইপিএস ব্যবহারে কোনো ফুয়েল বা লুব্রিকেন্টেরও প্রয়োজন হয় না। ব্যাকআপ পাওয়া যায় দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা।
IPS এর অর্থ Instant Power Supply, অর্থাৎ এটি এমন একটি ইলেকট্রনিক যান্ত্রিক ব্যবস্থা যার মাধ্যমে ব্যাটারীতে সঞ্চিত ডিসি শক্তিকে এসি প্রবাহে রূপান্তর করে বৈদ্যুতিক লোড যেমন বাতি, পাখা ইত্যাদি চালানো যায়। যখন বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে তখন চার্জারের মাধ্যমে ব্যাটারীকে চার্জ করে বিদ্যুৎ শক্তি সঞ্চয় করা হয় আর যখন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় তখন উপযুক্ত যন্ত্রাংশের মাধ্যমে ব্যাটারী হতে সঞ্চিত শক্তিকে প্রয়োজনীয় রূপে পরিবর্তন করে বৈদ্যুতিক লোড চালনা করা হয়। এই যন্ত্রের নাম আইপিএস।

Thursday, June 16, 2016

ঘুম-কর্মহীনতা কিংবা অলসতার মাস নয় রমযান

আমাদের পূর্বপুরুষ, প্রথম যুগের মুসলিমগণ জানতেন, রমযান হচ্ছে কর্ম, জিহাদ ও আমলের মাস, ঘুম-কর্মহীনতা কিংবা অলসতার মাস নয় রমযান। তারা জানতেন আল্লাহর জমিনে তার প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইবাদত, তাহাজ্জুদ ও জিহাদের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
আব্দুল্লাহ ইব্ন মুবারক রহ. যখন তার বিখ্যাত কবিতা ফুজায়েল ইব্ন আয়াজের নিকট প্রেরণ করেন, ফুজায়েল রহ. আব্দুল্লাহ ইব্ন মুবারকের কবিতা পাঠ করে ক্রন্দন করতে থাকেন, অতঃপর বলেন: আবু আব্দুর রহমান সত্য কথাই বলেছেন, তিনি আমাকে সঠিক উপদেশ দিয়েছেন। ফুজায়েল হারাম শরিফ খেকে কখনো বিচ্ছিন্ন হতেন না, কারণ সেখানে এক সালাত অন্যান্য মসজিদে এক হাজার সালাতের সমান। আর আব্দুল্লাহ ইব্ন মুবারক থাকতেন জিহাদের ময়দানে। দেখুন: সিয়ারে আলামিন নুবালা: (৮/৪১২)
নিচে আব্দুল্লাহ ইব্ন মুবারকের কবিতার কিছু অংশ তুলে ধরা হল:
يا عابد الحرمين لو أبصرتنا … لعلمت أنك بالعبادة تلعبُ
من كان يخضِبُ جيدَهُ بدموعه * * * فنحورنا بدمائنا تتخضَّبُ
أوْ كان يُتعِبُ خيلَهُ في باطلٍ * * * فخيولنا يومَ الصبيحةِ تتعبُ
ريحُ العبير لكم ونحنُ عبيرُنا* * * رهَجُ السنابكِ والغُبارُ الأطيبُ
ولقد أتانا من مقالِ نبينا * * * قولٌ صحيحٌ صادقٌ لا يكذبُ
لا يستوي وغُبار خيل الله في* * * أنف امرئٍ ودُخانُ نارٍ تلهَبُ
هذا كتابُ الله ينطق بيننا * * * ليس الشهيدُ بميتٍ لا يُكذَبُ

অতএব রমযান মাস আমরা অলসতা, কর্মহীনতা বা বেকারত্বসহ অতিবাহিত করব না। এতে আমরা আমাদের প্রতিটি কাজ-কর্ম ও আমল দৃঢ় ও সুন্দরভাসে সম্পন্ন করব, কারণ কোন কাজ সুন্দর করা তাকওয়ার দলিল, আর তাকওয়ার অনুশীলন হচ্ছে সওমের প্রধান উদ্দেশ্য ও অন্যতম লক্ষ্য।

রামাযানের রোযা রেখে কেউ যদি ভুলক্রমে খানা-পিনা করে তবে তার ছিয়াম বিশুদ্ধ!!

রামাযানের রোযা রেখে কেউ যদি ভুলক্রমে খানা-পিনা করে তবে তার ছিয়াম বিশুদ্ধ। তবে স্মরণ হওয়ার সাথে সাথে বিরত হওয়া ওয়াজিব। এমনকি খাদ্য বা পানীয় যদি মুখের মধ্যে থাকে এবং স্মরণ হয়, তবে তা ফেলে দেয়া ওয়াজিব। ছিয়াম বিশুদ্ধ হওয়ার দলীল হচ্ছে, আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
مَنْ نَسِيَ وَهُوَ صَائِمٌ فَأَكَلَ أَوْ شَرِبَ فَلْيُتِمَّ صَوْمَهُ فَإِنَّمَا أَطْعَمَهُ اللَّهُ وَسَقَاهُ
“যে ব্যক্তি রোযা রেখে ভুলক্রমে পানাহার করে, সে যেন তার ছিয়াম পূর্ণ করে। কেননা আল্লাহ্‌ই তাকে খাইয়েছেন ও পান করিয়েছেন।” তাছাড়া ভুলক্রমে নিষিদ্ধ কাজ করে ফেললে তাকে পাকড়াও করা হবে না। আল্লাহ্‌ বলেন, رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا “হে আমাদের পালনকর্তা আমরা যদি ভুলে যাই বা ভুলক্রমে কোন কিছু করে ফেলি, তবে আমাদের পাকড়াও করবেন না।” (সূরা বাক্বারাঃ ২৮৬) আল্লাহ্‌ বলেন, আমি তাই করলাম।
কেউ যদি দেখতে পায় যে ভুলক্রমে কোন মানুষ খানা-পিনা করছে, তবে তার উপর ওয়াজিব হচ্ছে, তাকে বাঁধা দেয়া এবং ছিয়ামের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়া। কেননা ইহা গর্হিত কাজে বাধা দেয়ার অন্তর্গত। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন,
مَنْ رَأَى مِنْكُمْ مُنْكَرًا فَلْيُغَيِّرْهُ بِيَدِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِلِسَانِهِ فَإِنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَبِقَلْبِهِ وَذَلِكَ أَضْعَفُ الْإِيمَانِ
“যে ব্যক্তি কোন গর্হিত কাজ হতে দেখবে, সে যেন হাত দ্বারা বাধা প্রদান করে, যদি সম্ভব না হয় তবে যবান দ্বারা বাধা দিবে, যদি তাও সম্ভব না হয় তবে অন্তর দ্বারা তা ঘৃণা করবে।” সন্দেহ নেই রোযা রেখে খানা-পিনা করা একটি গর্হিত কাজ। কিন্তু ভুল ক্রমে হওয়ার কারণে তাকে ক্ষমা করা হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি তা দেখবে তার জন্য তাতে বাধা না দেয়ার কোন ওযর থাকতে পারে না।

গ্রন্থঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম | রচনা/অনুবাদ/সংকলনঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)

রমজানরে শেষ দশ দিনের তাৎপর্য

আমার দ্বীনি ভাই ও বোনেরা। রামাদানের শেষ ১০ দিনে রয়েছে বরকতপূর্ণ রাত, লাইলাতুল কদর। আল্লাহ তাআলা এ মাসকে অন্য সব মাসের ওপর বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত করেছেন। আল্লাহ তাআলা এ উম্মতের প্রতি এ রাতের মর্যাদা ও কল্যাণ দান করে অনুগ্রহ করেছেন। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে এ রাতের ব্যাপারে বলেন,
‘নিশ্চয় আমি এটি নাজিল করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়, আমার নির্দেশে। নিশ্চয় আমি রাসূল প্রেরণকারী। তোমার রবের কাছ থেকে রহমত হিসেবে; নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। যিনি আসমানসমূহ, জমীন ও এ দুয়ের মধ্যবর্তী সব কিছুর রব; যদি তোমরা দৃঢ় বিশ্বাস পোষণকারী হও। তিনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই। তিনিই জীবন দান করেন এবং তিনিই মৃত্যু দেন। তিনি তোমাদের রব এবং তোমাদের পিতৃপুরুষদের রব’। {দুখান : ৩-৮}

টেলিপ্যাথি কি??

টেলিপ্যাথি, অতীন্দ্রিয় উপলব্ধি বা Extrasensory perception বলতে মনের বিশেষ ক্ষমতার মধ্যে দিয়ে তথ্য সংগ্রহকে বুঝানো হয়। এখানে শারীরিক কার্য্যকলাপের তেমন কোনো ভুমিকা নেই। অতীন্দ্রিয় উপলব্ধির আরেক নাম ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বা sixth sense ।
টেলিপ্যাথি শব্দটা এসেছে গ্রীক শব্দ টেলি এবং প্যাথিয়া থেকে । টেলি শব্দের অর্থ দূরবর্তী এবং প্যাথিয়া শব্দের অর্থ অনুভূতি । তারমানে টেলিপ্যাথি হলো দূরবর্তী অনুভূতি । এই দূরবর্তী অনুভূতি বা টেলিপ্যাথিক যোগাযোগ প্যারা সাইকোলজীর একটা অংশবিশেষ। এটা সাইকোলজির একটা শাখা যা মানুষের অদ্ভুতুড়ে কান্ড কারখানা বা ক্ষমতা নিয়ে রচিত।
প্যারা সাইকোলজিতে যদিও অলৌকিক ঘটনা বা ক্ষমতা নিয়ে কাজ করা হয় তবে সেটা হয় পুরোপুরি বিজ্ঞানসম্মতভাবেই। টেলিপ্যাথি বা প্রি-রিকোগনিশান অর্থাৎ আগে থেকেই কোন কিছু ধারণা করে নেওয়া বা ভবিষ্যত দেখতে পাওয়া। টেলিকিনসিস বা সাইকোকিনসিস বা কোন ধরণের শারীরিক সংশ্লিষ্ঠতা ছাড়াই কোন জিনিস নাড়াতে পারা, সাইকোমেট্রি বা কোন বস্তুকে স্পর্শ করে সেটা সম্পর্কে সব বলতে পারা, মৃত্যু স্পর্শ বা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসার অভিজ্ঞতা, বাইলোকেশান অর্থাৎ একই সময় দুই জায়গাই অবস্থান করা।
সত্যি কি টেলিপ্যাথি বলে কিছু আছে এ দুনিয়ায়?
আমাদের সবার জীবনের কোন না কোন ক্ষেত্রে টেলিপ্যাথি নেই এমনটা ভাবা যায়না। আমরা খুব সহজেই কাকতালীয় ঘটনা বলে ফেলতে পারি কিন্তু আমরা জানিই না যে এটা আমাদের মস্তিষ্কের এক অতীন্দ্রিয় সংবেদনশীলতা যেখানে আমাদের অবাধ প্রবেশাধিকার নেই।
টেলিপ্যাথি ৩ রকমের হয় । যেমন -
১। ফিজিক্যাল টেলিপ্যাথি,
২। ইমোশনাল টেলিপ্যাথি এবং
৩। মেন্টাল টেলিপ্যাথি ।
মেন্টাল টেলিপ্যাথিঃ কোন কথা-বার্তা, ইশারা ইঙ্গিত বা দেখা সাক্ষাৎ ছাড়াই দূরবর্তী দু'জন মানুষের যোগাযোগ করার ক্ষমতা । দূরত্ব এক রুম থেকে অন্য রুমের হতে পারে আবার পৃথিবীর একপ্রান্ত হতে অপর প্রান্তেও হতে পারে । অনেকেই মেন্টাল টেলিপ্যাথির অস্তিত্বে বিশ্বাস করবে না কিন্তু এরকম উদাহরণ দিতে পারবে যা মেন্টাল টেলিপ্যাথির সংগার সাথে মিলে যায়।
মেন্টাল টেলিপ্যাথিতে ইমোশন বা আবেগের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রয়েছে । একজন মা তার বাচ্চা ব্যথা পেলে টের পান , মা-বাবা মারা গেলে সন্তান টের পেয়ে যায় । বেশির ভাগ কেইসগুলা তে দেখা গেছে - মেন্টাল টেলিপ্যাথি শুধু মাত্র ঘনিস্ঠ বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের মধ্যে কাজ করছে । ইশ আমি যদি টেলিপ্যাথি দিয়ে কোনো শত্রুর গলাটা চেপে ধরতে পারতাম!!

Wednesday, June 15, 2016

প্লুটো : গ্রহ না 'অ'গ্রহ?

সৌরজগতের সম্ভবত সবচাইতে মজার এবং উত্তেজনায় পূর্ন সদস্য প্লুটো। তাকে সৌরজগতের একজন গর্বিত সদস্য হিসেবে স্বীকার করে নেয়া হবে নাকি অন্য চাকরবাকর দের দলে ফেলে দেয়া হবে এই নিয়ে জল্পনা কল্পনার শেষ নেই।তাই কিছুদিন পর পর তার বিচার বসে যায় তার ই প্রাক্তন সিবলিং এই পৃথিবিতে। তো প্লুটো আসলেই কি সৌরজগতের নবম সদস্যপদের দাবিবার নাকি তা নিছক ই ভালবাসার দরুন প্লুটোর প্রতি মানুষের পক্ষপাতিত্ব সেটাই জানার চেষ্টা করছিলাম নেট ঘেটে ঘেটে। ফলশ্রুতিতে বেশ কিছু মজার তথ্য জানতে পারলাম আর সাথে সাথে বসে গেলাম কীবোর্ড হাতে।

প্লুটো গ্রহ নাকি 'অ'গ্রহ তা জানার জন্য প্রথমে জানতে হবে গ্রহ হিসেবে তার আবিষ্কারের ইতিহাস। Percival Lowell নামক একজন বিজ্ঞানী ১৮৯৪ সালে সৌরজগতের একজন সম্ভাব্য নবম সদস্যের কথা বেশ গুরুত্বের সাথে প্রচার করতে শুরু করেন যাকে তিনি Planet X নাম দিয়েছিলেন। সেই সূত্র ধরে ১৯০৯ সালে তিনি এরকম একটি গ্রহের সম্ভাব্য কো অর্ডিনেট ও ভবিষ্যদ্বাণী করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে তার জীবদ্দশায় তিনি এধরনের কোন গ্রহের সন্ধান দিয়ে যেতে পারেন নি। যদিও তার মৃত্যু হয় ১৯১৬ সালে, মজার ব্যাপার হচ্ছে ১৯১৫ সালের ই ১৯ মার্চ এবং ৭ এপ্রিল ওই একি কো অর্ডিনেটে প্লুটোর দুইটি ছবি ধারন করা হয়েছিল কিন্তু ছবিগুলো তেমন পরিষ্কার না হওয়ায় বিজ্ঞানিরা বেশিদূর এগুতে চান নি। বলা বাহুল্য, এ সবি লোয়েলের অজ্ঞাত ছিল।
তার মৃত্যুর পর প্ল্যানেট এক্স কে নিয়ে গবেষণা বেশ থিতিয়ে যায় এবং তা আবার পুনরুজ্জীবিত হয় ১৯২৯ সালে, যখন Clyde Tombaugh একজন রিসার্চার হিসেবে লোয়েল অবজারভেটরিতে যোগ দ্যান। তিনি লোয়েলের ভবিষ্যদ্বাণীর সূত্র ধরে তার গবেষনা চালিয়ে যান এবং ১৯৩০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি,ওই কো অর্ডিনেটে একটি প্ল্যানেট লাইক অব্জেক্টের গতিবিধি থেকে তিনি নিশ্চিত হন যে আসলেই Planet X এর অস্তিত্ব রয়েছে। সেই সময়ে এ খবরে বেশ হই চই পড়ে যায় এবং সৌরজগতের নবম গ্রহের আবিষ্কারক হিসেবে Clyde Tombaugh ইতিহাসে স্থান করে নেন। অনেক যাচাই বাছাই এর পর গ্রহটির নাম প্লুটো নির্ধারন করা হয়।
এ যাবত সব ঠিক ছিল। বিপত্তি বাধল ১৯৯২ সালে এসে, যখন প্লুটোর আশেপাশেই প্লুটোর মত আরও অনেক অব্জেক্টের সন্ধান পাওয়া গেল। প্লুটো সৌরজগতের যে অংশ জুড়ে আনাগোনা করে তাকে বলা হয় কাইপার বেল্ট ( Kuiper Belt) । এই কাইপার বেল্টেই আনাগোনা করছে প্লুটোর মত আরও হাজারো ছোট ছোট icy অব্জেক্ট । তখন থেকেই সন্দেহের শুরু। তাহলে কি প্লুটো আসলেই কোন গ্রহ নয়? Clyde এর আবিষ্কার শুধুই একটি কাকতালিয় ঘটনা? সন্দেহ ঘনীভূত হল যখন ২০০৫ সালেই আবিষ্কৃত হল এরিস নামক আরেকটি মাইনর প্ল্যানেট যার ভর প্লুটোর চেয়েও বেশি। তাহলে হয় প্লুটোকে মাইনর প্ল্যানেটের ( মাইনর প্ল্যানেটঃ নাম প্ল্যানেট হলেও আসলে কোন গ্রহ নয়, কিন্তু এমন একটি অব্জেক্ট যা সরাসরি সূর্যকে অরবিট করছে যেমন - গ্রহানুপুঞ্জ, ট্রোজানস ইত্যাদি ) অন্তর্ভুক্ত করতে হবে নয়ত এরিস কে দশম গ্রহের সদস্যপদ দিতে হবে।
সকল সন্দেহের অবসান ঘটিয়ে ২০০৬ সালে International Astronomical Union (IAU) 'গ্রহ' জিনিসটার তিনটি বাধ্যতামূলক ক্রাইটেরিয়া নির্ধারন করে দেয়। এগুলো হচ্ছেঃ
১। সরাসরি সূর্যকে প্রতক্ষিন করতে হবে।
২। বস্তুটির ভর এমন হতে হবে যেন তার মাধ্যাকর্ষনের ফলে তার আকৃতি গোলাকার ধারন করে।
৩। তার নিজের অরবিটাল জোনে তাকে Gravitationally Dominant হতে হবে, অর্থাৎ তার প্রতিবেশিদের মাঝে কেউ তার সমপর্যায়ের হতে পারবেনা।
( একে এক কথায় Clearing the neighborhood বলে )
এর ফলে কাজ খুব সহজ হয়ে গেল, প্লুটো প্রথম দুইটি চাহিদা পূরন করতে পারলেও তিন নাম্বারে এসে ধরা খেয়ে গেল। IAU ও সাথে সাথে প্লুটোর সদস্যপদ কেড়ে নিয়ে তাকে বামন গ্রহ বা dwarf planet হিসেবে আখ্যা দিয়ে দিল। ফলশ্রুতিতে প্লুটোর স্থান হল মাইনর প্ল্যানেট লিস্টে।
এই ঘোষনার সাথে সাথে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয় গোটা এস্ট্রনমিক্যাল কমিউনিটিতে, বিভিন্ন স্থান থেকে তীব্র প্রতিবাদ আসে প্লুটোকে গ্রহ হিসেবে বহাল রাখার দাবিতে। তারা কোনভাবেই প্লুটোকে একটি সাধারন dwarf planet হিসেবে মানতে রাজি ছিলনা। পরবর্তীতে IAU অনেকটা বাধ্য হয় plutoid নামক একটি নতুন শব্দ চালু করতে, যা প্লুটোর মত অব্জেক্ট, যাদের ভর যথেষ্ট বেশি এবং সূর্যকে সরাসরি প্রদক্ষিন করছে কিন্তু ' ক্লিয়ারিং দ্য নেইবারহহুডের' ক্রাইটেরিয়া ফিল আপ করতে পারছেনা তাদেরকে সম্বোধন করতে ব্যবহার করা হবে।
এত কিছুর পর ও প্লুটো এখনো একটি বামন গ্রহ হিসেবেই মাইনর প্ল্যানেট লিস্টে বহাল রয়েছে। সম্প্রতি নাসার নিউ হরাইজোন স্পেস্ক্রাফট ২০১৫ সালের জুলাই মাসে প্লুটোর ব্যাপারে অনেক বিস্তারিত তথ্য পাঠায়, যার আগ পর্যন্ত প্লুটোর আভ্যন্তরীন পরিবেশ এবং গঠনগত ডিটেইলস নিয়ে মানুষ অনেক টা অন্ধকারেই ছিল বলা চলে।কেননা প্লুটো আকারে অত্যন্ত ছোট এবং পৃথিবী থেকে অনেক দূরে হওয়ায় শক্তিশালি হাবল টেলিস্কোপ দিয়েও বেশি সুবিধা করা যাচ্ছিলনা। যদিও সম্প্রতি প্লুটোর আকাশে মেঘের মত বস্তুর সন্ধান পাওয়া যাওয়ায় আবার প্লুটোকে গ্রহ হিসেবে ফিরিয়ে আনার একটা পায়তারা চলছে, কিন্তু আপাতত আমরা ওইদিকে না যাই, কেননা সন্দেহ নেই প্লুটো তার নিজস্ব ভাষায় ইতিমধ্যে 'ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাঁচি ' বলে চিৎকার শুরু করে দিয়েছে

Tuesday, June 14, 2016

বিনামূল্যে বাংলা বই পড়ার ছয় ওয়েবসাইট

কাগজের বইয়ের সময় কি ফুরাল! সবাই বলবেন না- একটি তরতাজা বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টিয়ে উল্টিয়ে পড়া আর নতুন বইয়ের ঘ্রাণ এর আবেদন কখনোই ফুরাবে না। তবে ই-বুক বা পিডিএফ ফরমেটের বইয়ের চাহিদাও বাড়ছে দিনদিন। বই রাখা নিয়ে ঝামেলা যেমন নেই তেমন মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ বা পিসিতে বসে পড়ে ফেলা যায় সহজেই। একটা মেমোরি কার্ডে রাখা যায় হাজার হাজার বই। যারা ই-বুক, পিডিএফ ফরমেটে বই পড়তে ভালোবাসেন। সেইসব বইয়ের পোকাদের জন্যই ফ্রি-বইয়ের ঠিকানা। ঘুরে আসুন অনলাইন বইয়ের জগৎ থেকে। ডাউনলোড করে নিন প্রিয় বই, প্রয়োজনীয় বই।
 
১। বইয়ের দোকান: (www.boierdokan.com)
 
২০০৯ সালে প্রথম চালু হলেও টেকনিক্যাল কারণে খুব একটা বেশি বই আপলোড হয়নি । ২০১১ সালে পুনরায় নতুন আঙ্গিকে শুরু হয় বইয়ের দোকান। বইয়ের দোকানের উঠানে গিয়ে দাঁড়ালে উপন্যাস, কবিতা, গল্প, সমালোচনা, নাটক, নন-ফিকশন প্রভৃতি বইয়ের দরজাগুলো দেখাবে। দরজা খুলে ভেতরে প্রবেশ করলেই অজস্র বই। ফ্রি ডাউনলোড করে করতে পারবেন বইগুলো। আর ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো বইয়ের দোকান ই-বইমেলার আয়োজন করেছিলো।
 
২। আমার বই: (www.amarboi.com)
 
এই সাইটে ফ্রি বই থাকলেও সব বই ফ্রিতে পাওয়া যায় না। প্রতি বছরের জন্য ২৪.৯৯ ডলার ফি দিয়ে প্রিমিয়াম সদস্য হওয়ার সুযোগ রয়েছে। প্রিমিয়াম সদস্যদের বই ডাউনলোডের সুযোগ-সুবিধা একটু বেশিই।
 
৩। সোভিয়েট বইয়ের অনুবাদ: (www.sovietbooksinbengali.com)
 
তলস্তয়, দস্তোয়ভস্কি, নিকোলাই অস্ত্রভস্কি, আর্কিদি গাইদার কিংবা ম্যাক্সিম গোর্কি সহ আর আর রুশ লেখকদের বইয়ের অনুবাদ পাবেন এই সাইটে। রুশ উপকথা বা কিশোর সাহিত্যের দুষ্প্রাপ্য বইগুলোও ইলেকট্রনিক ফরমেটে ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
 
৪। অল বাংলা বুকস: (www.allbdbooks.com/viewbook/B/1182/)
 
এই সাইটে হাজার খানিকের মতো বই রয়েছে। ফ্রি ডাউনলোড করতে পারবেন গল্প, উপন্যাস, ম্যাগাজিন, রহস্যপত্রিকা এবং সেবা প্রকাশনীর প্রিয় বইয়ের কিছু।
 
৫। বাংলা ইন্টারনেট: (www.banglainteet.com)
 
বাংলা ইন্টারনেট বইয়ের পাশাপাশি লেখকদেরও সংক্ষিপ্ত প্রোফাইল যুক্ত করা রয়েছে। ফলে শুধু বই-ই না, লেখক সম্পর্কেও প্রয়োজনীয় তথ্য আপনি পেতে পারেন বাংলা ইন্টারনেট থেকে।
 
৬। দ্য বাংলা বুক: (www.thebanglabook.com)
 
দেড় হাজারের মতো বই রয়েছে এই সাইটে। লেখক অনুসারে সাজানো বইগুলো থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। এ ছাড়া আছে বিভিন্ন ম্যাগাজিন ও পত্রিকা।
 
এগুলো ছাড়াও আরো অনেক সাইট রয়েছে যেখান থেকে আপনি ফ্রিতে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন প্রয়োজনীয় বাংলা বই। 

গণিতের মজা

এক দিন এক লোক একটা ধাঁধাঁ নিয়ে এক গণিতবিদের কাছে আসলেন, তার ধাধা হলো- ৩ জন জেলে সমুদ্রে মাছ ধরতে গেছে। মাছ ধরে ক্লান্ত হয়ে রাতের বেলা এক দ্বীপে ঘুমিয়ে পড়ল সবাই। রাতে একজনের ঘুম ভেঙ্গে গেল, সে মাছ গুলো তিন ভাগ করতে গিয়ে একটা বাড়তি মাছ পেয়ে সমুদ্রে ফেলে দিল এবং নিজের এক ভাগ নিয়ে চলে গেল। ২য় জনের ঘুম ভাঙ্গার পর সে ও একই কাজ করল, মাছ গুলো তিন ভাগে ভাগ করে একটা বাড়তি মাছ ফেলে দিয়ে নিজেরটা নিয়ে গেল। ৩য় জন ও একই কাজ করল। এখন প্রশ্ন হল- সর্বনিম্ন কতটি মাছ হলে এভাবে ভাগ করা সম্ভব। গণিতবিদ মনোযোগ দিয়ে প্রশ্নটি শুনলেন, একমুহুর্ত চিন্তা করে বললেন, -2 টি মাছ হলেই চলে!! প্রশ্নকর্তা হতবাক। সে আশা করেছিল প্রচলিত উত্তর (25),মাছ কিভাবে “-2″ হবে সেটা তাকে কে বোঝাবে? গাণিতিক ভাবে তার উত্তর একেবারেই নিখুঁত। ১ম জেলে -2 টি মাছ ভাগ করতে গিয়ে একটা ফেলে দিল- মাছ হল -3 [-2-(+1)] টি। এখান থেকে সে -1 টি মাছ নিয়ে গেলে -2[-3-(-1)] টি মাছ থাকল, ২য় এবং ৩য় জনও একই কাজ করবে এবং তার পরও -2 টি মাছ থাকবে !! অনেকে মনে করতে পারেন এই গল্প বুঝি বানানো। এটা মোটেও মানানো গল্প না।আলোচ্য গণিতবিদ হলেন নোবেল বিজয়ী পল ডিরাক যিনি সর্বপ্রথম অ্যান্টিম্যটার বা প্রতিপদার্থের ভবিষৎবানী করেছিলেন।এখন আমরা বুঝতে পারি তাঁর মাথায় এমন অদ্ভূত সমাধান কিভাবে এলো। এখানেই হলো গণিতের মজা। একটা সমাধান যত অদ্ভুতই হোক না কেন, সেটা গাণিতিক ভাবে ঠিক থাকলেই হলো।

কৃতজ্ঞতায় - ডিসকভারি বাংলা

রমাদান মাসের গুরুত্বপূর্ণ আমলগুলো হলো

[১] সিয়াম পালন করা
ইসলামের পাঁচটি রুকনের একটি রুকন হল সিয়াম। আর রমাদান মাসে সিয়াম পালন করা ফরজ। সেজন্য রমাদান মাসের প্রধান আমল হলো সুন্নাহ মোতাবেক সিয়াম পালন করা। মহান আল্লাহ বলেন,
﴿فَمَن شَهِدَ مِنكُمُ ٱلشَّهۡرَ فَلۡيَصُمۡهُۖ ﴾ [البقرة: ١٨٥] 
“সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে, মাসটিতে উপস্থিত হবে, সে যেন তাতে সিয়াম পালন করে” [সূরা আল-বাকারাহ : ১৮৫]।
সিয়াম পালনের ফযিলাত সম্পর্কে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
«مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ »
‘‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ইখলাস নিয়ে অর্থাৎ একনিষ্ঠভাবে আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার জন্য রমাদানে সিয়াম পালন করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’’ [সহীহ বুখারী : ২০১৪]।
«مَا مِنْ عَبْدٍ يَصُوْمُ يَوْمًا فِيْ سَبِيْلِ اللهِ إِلاَّ بَاعَدَ اللهُ بِذَلِكَ وَجْهَهُ عَنِ النَّارِ سَبْعِيْنَ خَرِيْفًا»
‘‘যে কেউ আল্লাহর রাসত্মায় (অর্থাৎ শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য) একদিন সিয়াম পালন করবে, তাদ্বারা আল্লাহ তাকে জাহান্নামের অগ্নি থেকে সত্তর বছরের রাসত্মা পরিমাণ দূরবর্তীস্থানে রাখবেন’’। [সহীহ মুসলিম : ২৭৬৭]


[২] সময় মত সালাত আদায় করা

সিয়াম পালনের সাথে সাথে সময় মত নামায আদায় করার মাধ্যমে জান্নাতে যাওয়ার পথ সুগম হয়। কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে,
﴿إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ كَانَتۡ عَلَى ٱلۡمُؤۡمِنِينَ كِتَٰبٗا مَّوۡقُوتٗا ١٠٣ ﴾ [النساء: ١٠٣] 
‘নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয।’ [সূরা নিসা : ১০৩] এ বিষয়ে হাদীসে এসেছে,
«عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ قُلْتُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَقْرَبُ إِلَى الْجَنَّةِ قَالَ الصَّلَاةُ عَلَى مَوَاقِيتِهَا»
আব্দুল্লাহ ইবন মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর নবী! কোন আমল জান্নাতের অতি নিকটবর্তী? তিনি বললেন, সময় মত নামায আদায় করা। [সহীহ মুসলিম : ২৬৩]


[৩] সহীহভাবে কুরআন শেখা 

রমাদান মাসে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। এ মাসের অন্যতম আমল হলো সহীহভাবে কুরআন শেখা। আর কুরআন শিক্ষা করা ফরয করা হয়েছে। কেননা কুরআনে বলা হয়েছে, 
﴿ ٱقۡرَأۡ بِٱسۡمِ رَبِّكَ ٱلَّذِي خَلَقَ ١ ﴾ [العلق: ١] 
‘‘পড় তোমার রবের নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন’’ [সূরা আলাক : ১]। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুরআন শেখার নির্দেশ দিয়ে বলেন, 
« تَعَلَّمُوا الْقُرْآنَ ، وَاتْلُوهُ»
‘‘তোমরা কুরআন শিক্ষা কর এবং তিলাওয়াত কর’’ [মুসনাদ আলজামি : ৯৮৯০]।


[৪] অপরকে কুরআন পড়া শেখানো 

রমাদান মাস অপরকে কুরআন শেখানোর উত্তম সময়। এ মাসে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে সাহাবীদেরকে কুরআন শিক্ষা দিতেন। এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
«خَيْرُكُمْ مَنْ تَعَلَّمَ الْقُرْآنَ وَعَلَّمَهُ»
‘‘তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম ব্যক্তি সেই, যে নিজে কুরআন শিক্ষা করে ও অপরকে শিক্ষা দেয়’’ [সহীহ আল-বুখারী : ৫০২৭]।
«مَنْ عَلَّمَ آيَةً مِنْ كِتَابِ اللهِ عَزَّ وَجَلَّ ، كَانَ لَهُ ثَوَابُهَا مَا تُلِيَتْ»
‘যে আল্লাহর কিতাব থেকে একটি আয়াত শিক্ষা দিবে, যত তিলাওয়াত হবে তার সাওয়াব সে পাবে’ [সহীহ কুনুযুস সুন্নাহ আন-নবুবিয়্যাহ : ০৭]।


[৫] সাহরী খাওয়া

সাহরী খাওয়ার মধ্যে বরকত রয়েছে এবং সিয়াম পালনে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। হাদীসে এসেছে,
«السُّحُورُ أَكْلَةٌ بَرَكَةٌ فَلاَ تَدَعُوهُ ، وَلَوْ أَنْ يَجْرَعَ أَحَدُكُمْ جَرْعَةً مِنْ مَاءٍ ، فَإِنَّ اللَّهَ وَمَلاَئِكَتَهُ يُصَلُّونَ عَلَى الْمُتَسَحِّرِينَ»
‘‘সাহরী হল বরকতময় খাবার। তাই কখনো সাহরী খাওয়া বাদ দিয়ো না। এক ঢোক পানি পান করে হলেও সাহরী খেয়ে নাও। কেননা সাহরীর খাবার গ্রহণকারীকে আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর ফেরেশতারা স্মরণ করে থাকেন’’ [মুসনাদ আহমাদ : ১১১০১, সহীহ]

[৬] সালাতুত তারাবীহ পড়া 

সালাতুত তারাবীহ পড়া এ মাসের অন্যতম আমল। তারাবীহ পড়ার সময় তার হক আদায় করতে হবে। হাদীসে এসেছে, 
« مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ»
‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব হাসিলের আশায় রমাদানে কিয়ামু রমাদান (সালাতুত তারাবীহ) আদায় করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে’ [সহীহ আল-বুখারী : ২০০৯]
তারাবীহ এর সালাত বিতরসহ ২৩ রাকাআত, ২১ রাকাআত, ১৩ রাকাআত, অথবা ১১ রাকাআত পড়া যাবে। তারাবীহ এর সালাত তার হক আদায় করে অর্থাৎ ধীরস্থীরভাবে আদায় করতে হবে। তারাবীহ জামায়াতের সাথে আদায় করা সুন্নাহ এর অন্তর্ভুক্ত। হাদীসে আছে,
«إِنَّهُ مَنْ قَامَ مَعَ الإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ كُتِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَة»ٍ
‘‘যে ব্যক্তি ইমামের সাথে প্রস্থান করা অবধি সালাত আদায় করবে (সালাতুত তারাবীহ) তাকে পুরো রাত কিয়ামুল লাইলের সাওয়াব দান করা হবে’’ [সুনান আবূ দাউদ : ১৩৭৭, সহীহ]।


[৭] বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা 
এটি কুরআনের মাস। তাই এ মাসে অন্যতম কাজ হলো বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করা। হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, 
«مَنْ قَرَأَ حَرْفًا مِنْ كِتَابِ اللهِ فَلَهُ بِهِ حَسَنَةٌ ، وَالحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا ، لاَ أَقُولُ الْم حَرْفٌ ، وَلَكِنْ أَلِفٌ حَرْفٌ وَلاَمٌ حَرْفٌ وَمِيمٌ حَرْفٌ»
‘‘যে ব্যক্তি কুরআনের একটি হরফ পাঠ করে, তাকে একটি নেকি প্রদান করা হয়। প্রতিটি নেকি দশটি নেকির সমান। আমি বলি না যে, আলিফ-লাম-মীম একটি হরফ। বরং আলিফ একটি হরফ, লাম একটি হরফ এবং মীম একটি হরফ’’ [সুনান আত-তিরমিযী: ২৯১০, সহীহ]। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমাদান ব্যতীত কোন মাসে এত বেশি তিলাওয়াত করতেন না। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,
«وَلاَ أَعْلَمُ نَبِىَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَرَأَ الْقُرْآنَ كُلَّهُ فِى لَيْلَةٍ وَلاَ صَلَّى لَيْلَةً إِلَى الصُّبْحِ وَلاَ صَامَ شَهْرًا كَامِلاً غَيْرَ رَمَضَانَ».
‘‘রমাদান ব্যতীত অন্য কোনো রাত্রিতে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াসাল্লামকে পূর্ণ কুরআন তিলাওয়াত করতে, কিংবা ভোর অবধি সালাতে কাটিয়ে দিতে অথবা পূর্ণ মাস রোযা পালন করে কাটিয়ে দিতে দেখি নি’’
[সহীহ মুসলিম : ১৭৭৩]।

Monday, June 13, 2016

কে টেলিস্কোপের আবিষ্কারক ?

এক কথায় সবাই গ্যালিলিও গ্যালিলির নাম বলে দেবে। আসলে না। টেলিস্কোপের আবিষ্কারক গ্যালিলিও গ্যালিলি না। টেলিস্কোপের সত্যিকারের আবিষ্কারক একজন জার্মান চশমা নির্মাতা। নাম 'হ্যান্স লিফারহে'।হ্যান্স লিফারহে এটি আবিষ্কার করেছিলো ১৬০৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে সেপ্টেম্বর। ঠিক তার এক সপ্তাহ পরেই নেদারল্যান্ডের আরেক চশমা নির্মাতা জ্যাকব মেটিয়াস আরেকটিটেলিস্কোপ আবিষ্কার করেন।ঠিক তার কিছুদিন পর হ্যান্স লিফারহে ও জ্যাকব মেটিয়াসের পর আরেক চশমা নির্মাতা সাচারিস জ্যানসিন আরেকটি টেলিস্কোপ আবিষ্কার করে।আর এই খবর ছরিয়ে গেলো পুরো ইউরোপে। খবরটি গ্যালিলিওর কানেও গেলো।অতপর ১৬০৯ খ্রিষ্টাব্দে গ্যালিলিও গ্যালিলি তার টেলিস্কোপটি তৈরী করেন। তার মানে এই নয় যে গ্যালিলিও গ্যালিলি টেলিস্কোপের জন্য কিচ্ছুটি করেনি। করেছে। গ্যালিলিও গ্যালিলেই প্রথম মানব যিনি টেলিস্কোপকে আকাশের দিকে তাক করিয়েছিল।তখন গ্যালিলিও চাঁদের পাহাড় আবিষ্কারসহ আরো নানাকিছ আবিষ্কার করেছিল।

ডাক্তার মাছ

    ডাক্তার মাছ::: কথাটা বিশ্বাস করার মতো নয় অথচ বিশ্বাস না করেও উপায় নেই। কারণ বিজ্ঞানীরা আজ নিশ্চিত হয়েছেন, মাছেদেরও ডাক্তার আছে। আর সেই ডাক্তাররা নিজেরাও মাছ, মানুষ নয়। মানুষ ডাক্তাররা যেমন অসুস্থ রোগীকে চিকিত্সা করেন, মাছ ডাক্তাররাও তেমনি মাছ রোগীদের চিকিত্সা করে—রোগও সারিয়ে তোলে।
    মাছেরা পানির নিচে থাকে। সেই পানিতে ঘুরে বেড়ায় জানা-না জানা হাজারো রকম জীবাণু। রয়েছে নানা ধরনের পরজীবী শ্যাওলা, ক্ষুদ্রপ্রাণী। এরা মাছের শরীরে বাসা বাঁধে। প্রথম বাসা বাঁধে মাছের আঁশের ওপর। তারপর চা...মড়া ক্ষত-বিক্ষত করে ঢুকে পড়ে শরীরের ভেতর। সেখানে তারা মাছের রক্ত শুষে নিয়ে বংশ বিস্তার করে, রোগ-জীবাণু ছড়ায়। মাছকে দ্রুত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।
    মাছেরা যখন বুঝতে পারে তারা পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে, তখন ছুটে যায় ডাক্তার মাছেদের কাছে। ডাক্তার মাছেরা তখন খুব যত্ন নিয়ে খুঁটে খুঁটে মাছেদের শরীর থেকে পরজীবী শ্যাওলা বা জীবাণুগুলোকে পরিষ্কার করে দেয়। এভাবে নিয়মিত শরীর পরিষ্কার করানোর পর আক্রান্ত মাছটি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যায়।
    মজার ব্যাপার হলো, আমরা যেমন ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে সুশৃঙ্খলভাবে তার ডাকের জন্য অপেক্ষা করি, মাছ রোগীরাও ঠিক তেমনই করে। যে গর্তে বা পাথরের ফাটলে ডাক্তার মাছ অপেক্ষা করে, তার সামনে রোগী মাছেরা সারি বেঁধে অপেক্ষা করে।
    একজনের চিকিত্সা চলার সময় অন্য রোগীরা ধৈর্যহারা হয়ে এমন কোনো কাণ্ড ঘটায় না, যাতে ডাক্তার মাছের মেজাজ বিগড়ে যেতে পারে। কারণ মেজাজ বিগড়ে গেলে ডাক্তার মাছ চিকিত্সা অসমাপ্ত রেখেই চলে যায় সেখান থেকে।
    ডাক্তাররা সাধারণত রোগী খুঁজে বেড়ান না—রোগীরাই ডাক্তারকে খুঁজে বের করে। মাছেদের বেলায়ও এই একই নিয়ম প্রচলিত। ডাক্তার মাছ কোনো ডুবো পাহাড়ের গুহা, কোনো পাথরের ফাটল অথবা ঝোপের আড়ালে অপেক্ষা করে। রোগী মাছেরা খুঁজে খুঁজে বের করে তাদের।
    তারপর সুশৃঙ্খলভাবে নিজেদের শরীর পরিষ্কার করিয়ে নেয়।
    সব মাছ তো আর ডাক্তার নয়। এ কাজে যারা দক্ষ, তারাই মাছেদের ডাক্তার। এই ডাক্তারদের খুঁজে বের করার কাজটিও খুব সহজ নয়। কারণ মানুষ ডাক্তারদের মতো তাদের কোনো নেমপ্লেট বা সাইনবোর্ড থাকে না। তা হলে কি করে রোগী মাছটি ডাক্তার মাছকে খুঁজে নেয়? সেটা প্রকৃতিই শিক্ষা দেয় তাদের। মাছেরা তাদের সূক্ষ্ম অনুভূতি দিয়ে চিনে নেয় ডাক্তার মাছেদের। আর চেনার জন্য সহায়তা করে ডাক্তার মাছেদের চটকদার রঙ।
    যারা ডাক্তার মাছ, তারা খুব রঙচঙে হয়। এই রঙ হয় সাধারণত টকটকে লাল, উজ্জ্বল হলদে আর কালোয় মেশানো। এসব ডাক্তারের কাছে গিয়ে রোগী মাছেরা একটুও নড়াচড়া করে না। পানির মাঝে স্থির হয়ে ভেসে থাকে রোগী মাছ। ডাক্তার মাছেরা তখন কাছে এসে ঘুরে ঘুরে পরখ করে তার রোগীকে। তারপর লম্বা ঠোঁট, লম্বা দাঁড়া বা কাঁটা দিয়ে সাবধানে তুলে নেয় রোগজীবাণু।
    ডাক্তার মাছেদের তালিকায় সামুদ্রিক চিংড়ির নামও শোনা যাচ্ছে ইদানীং। তারা নাকি তাদের লম্বা লম্বা হাত-পা দিয়ে দক্ষতার সঙ্গেই চিকিত্সা করে যাচ্ছে মাছ রোগীদের।


    তথ্যসূত্র - ডিসকভারি বাংলা
 

Welcome here!!!


Dont miss a post!!

Thanks for visiting!!


 
Blogger Templates